প্রাণের কাসাভা চাষিদের ঘরে ‘৫৫% বেশি ফলন

প্রাণের কাসাভা চাষিদের ঘরে ‘৫৫% বেশি ফলন

Published on: 10th June, 2022
কাসাভা চাষে চুক্তিবদ্ধ চাষিদের ভালো ফলন পাওয়ার কথা জানিয়ে প্রাণ বলছে, চলতি বছর গড়ে প্রতি একর জমিতে চার টন করে কাসাভার ফলন পেয়েছেন চাষিরা, যা গত বছরের তুলনায় ৫৫ শতাংশ বেশি।

রোববার প্রাণের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, এ বছর ৪ হাজার ৭৫০ একর জমিতে কাসাভা লাগিয়েছিলেন ‍চুক্তিবদ্ধ চাষিরা।

কাসাভা হচ্ছে শিকড়জাত এক ধরনের আলু যা পাহাড়ি, অনাবাদী এবং অপেক্ষাকৃত কম উর্বর জমিতে চাষ হয়। দেশে এটি শিমুল আলু নামে পরিচিত।

প্রাণ এগ্রো বিজনেস লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিনকে উদ্ধৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি মৌসুমের জন্য গত বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে মে পর্যন্ত কাসাভা সংগ্রহ করা হয়। এবছর ৪ হাজার ৭৫০ একর জমি থেকে ১৯ হাজার টন কাসাভা পেয়েছেন চাষীরা।

গত বছর এই সময়ে ৫ হাজার ১৪০ একর জমি থেকে সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন ১৩ হাজার ১৯১ টন কাসাভা। অনেক জমিতে এবার একর প্রতি সর্বোচ্চ ৯ টন কাসাভার ফলন হয়েছে।

তিনি জানান, উন্নত জাত উদ্ভাবন করতে পারলে এদেশেও বছরে দুবার ফলন সম্ভব এবং প্রতি একর জমি থেকে ১৪-১৫ টন কাসাভা পাওয়া সম্ভব হবে। ফলন বাড়লে কৃষকরা কাসাভা চাষে কাসাভা চাষে আরো উৎসাহিত হবে।

প্রাণ জানিয়েছে, চলতি বছর রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভিবাজার, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, জামালপুর, কুমিল্লা ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলায় কাসাভা চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি কাসাভার চাষ হয়েছে খাগড়াছড়ি জেলায়।

 

সিলেটে কাসাভার চাষ বাড়ছে জানিয়ে কোম্পানিটি বলছে, কৃষকদের কাছ থেকে এসব কাসাভা প্রতি টন সাড়ে সাত হাজার টাকা দরে সংগ্রহ করছেন তারা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৪ সাল থেকে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে কাসাভা চাষে কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে আসছে প্রাণ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অব্যবহৃত পাহাড়ি জমির যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ করে কৃষি খাতে কাসাভা ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে প্রাণের কাসাভা প্রক্রিয়াজাতকরণের প্লান্ট রয়েছে। যেখান প্রতি বছর প্রায় ৬০ হাজার টন কাসাভা প্রক্রিয়াজাত করা যায়।

কাসাভা থেকে পাওয়া উন্নত মানের স্টার্চ দিয়ে গ্লুকোজ, বার্লি, সুজি, রুটি, নুডলস, ক্র্যাকার্স, কেক, পাউরুটি, বিস্কুট, পাঁপর, চিপসসহ নানাবিধ খাদ্য তৈরি করা যায় বলে জানান তিনি।

এছাড়া বস্ত্র ও ঔষুধ শিল্পে ব্যাপকভাবে কাসাভার স্টার্চ ব্যবহৃত হয়।