যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ পণ্যের ব্র্যান্ডিং
যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ পণ্য যাওয়া শুরু হয় ২০০৪ সালে। ক্যান জুস, ম্যাঙ্গো বার ও টোস্ট বিস্কুট রপ্তানির মাধ্যমে সেখানে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। এর পর থেকে ক্রমেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ পণ্যের চাহিদা বাড়তে থাকে। এখন উপমহাদেশের জনগোষ্ঠী ছাড়াও আমেরিকায় বসবাসকারী মেক্সিকান, ইউরোপিয়ানসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছে প্রাণ পণ্য জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণ পণ্যের বাজার সৃষ্টি ও প্রসারের লক্ষ্যে ২০১৪ সালে ব্র্যান্ডিং শুরু করা হয়। শুরুতে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে এই ব্র্যান্ডিং সীমাবদ্ধ ছিল। তবে এখন প্রাণের বাজার বড় হওয়ায় বৃহদাকারে ব্র্যান্ডিংয়ের কাজ শুরু করেছে প্রাণ গ্রুপ। মার্কিনদের মধ্যে প্রাণ পণ্য সম্পর্কে তুলে ধরে বিভিন্ন ধরনের ব্র্যান্ডিং হচ্ছে। এখন আমেরিকার বিভিন্ন স্টেট ধরে ধরে এসব ব্র্যান্ডিং শুরু করেছে প্রাণ গ্রুপ।
যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমেই প্রাণ পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। তবে করোনা ও জাহাজসংকটের কারণে ২০২০ সালে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও প্রতিবছর এ চাহিদা প্রায় ৩০ শতাংশ করে বাড়ছে।
কামরুজ্জামান কামাল আরও বলেন, আমেরিকায় প্রায় ১০০ ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৩০টি স্টেটে পাওয়া যাচ্ছে। পণ্যের মধ্যে রয়েছে ম্যাঙ্গো ফ্রুট ড্রিংক, সুগন্ধি চাল, মুড়ি, শর্ষের তেল, নুডলস, মসলা, টোস্ট, বিস্কুট, ড্রাই কেক, ললিপপ, চকলেট, অ্যাক্লেয়ার, পটেটো ক্র্যাকার্স এবং ফ্রোজেন ফুডস পরোটা, সমুচা, স্প্রিং রোল।
আমেরিকার নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, শিকাগো, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা ও আটলান্টা অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি হয়। সেখানে বিখ্যাত চেইনশপ ফুড টাউন, ফুড বাজার, কে ফুড, প্যাটেল বাজারসহ বিভিন্ন চেইনশপ ও গ্রোসারি শপে প্রাণ পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।